গতকাল শনিবার বাংলা একাডেমিতে ড. মো. আনোয়ার হোসেন রচিত ‘অনন্ত আমরা চুপ থাকবো না’ বইয়ের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অজয় রায় প্রশ্ন করেন, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ অভিজিতের খুনিদের শনাক্ত করার কথা দাবি করলেও একজনও গ্রেপ্তার না হওয়ার কী রহস্য?
অধ্যাপক অজয় রায় বলেন,“গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, ‘অভিজিতের তিন জন হত্যাকারী নজরদারিতে রয়েছে’।“তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, নজরদারি মানে কী? নজরদারি না করে গ্রেপ্তার করছেন না কেন? তারা উত্তর দিতে পারেননি।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের একটি বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এখন বলা হচ্ছে, অভিজিতের হত্যাকারীরা দেশত্যাগ করেছেন। তাহলে আপনারা কীসের ঘোড়ার ডিমের নজরদারি করেছেন?”
একের পর এক হত্যাকাণ্ড তার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অজয় রায়। তিনি বলেন, “একের পর এক হত্যাকাণ্ডের পর আমি চুপ হয়ে গেছি। এক সময় আমি কথা বলতাম। প্রতিবাদে মুখর থাকতাম। এখন আমি চুপ হয়ে গেছি।”
পুলিশের আইজিপির পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, “জঙ্গিরা টার্গেট তালিকা দিয়েছে। তারা টার্গেট করে হত্যা করে যাচ্ছে। আপনারা রক্ষা করতে পারছেন না। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে নৈতিক অবস্থান থেকে আইজিপির আজই পদত্যাগ করা উচিত।“
এ প্রসঙ্গে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড: তুহিন ওয়াদুদ রেডিও তেহরানের কাছে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে তার ক্ষেভের কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকার এখনো এগিয়ে না এলে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।#
আব্দুর রহমান খান/গাজী আবদুর রশীদ/৮