সংস্থাটির মতে, ‘২০১৫ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষকরে খ্রিস্টান, মুসলিম এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনকে ভয়ভীতি, উৎপীড়ন এবং সহিংসতার শিকার হতে হয়েছে।’
মার্কিন ওই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে ‘ওইসব সম্প্রদায়ের নিপীড়নের পিছনে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের হাত ছিল। পুলিশের পক্ষপাত এবং বিচারবিভাগীয় ঘাটতির জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদেরকে অনিরাপদ বলে মনে করেন।’
মার্কিন কমিশন বলছে, পরিস্থিতি বিশ্লেষণে চলতি ২০১৬ সালে হওয়া ঘটনার ওপরও নজর রাখা হবে।
‘ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ আমেরিকা সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নীতি প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের এক মাস আগে এ ধরণের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে ইউএসসিআইআরএফ সদস্যদের ভিসা দিতে অস্বীকার করা হয়। বিগত ইউপিএ সরকারও তাদের ভিসা দিতে রাজি হয়নি।
গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ ভারতে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়, ‘দেশে ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং লিঙ্গ ও জাতি ভিত্তিক বৈষম্য ও সহিংসতা ব্যাপকভাবে রয়েছে।’
মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের ঘটনা বেড়েছে বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়। এবার প্রকাশ্যে এল ‘ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’-এর রিপোর্ট।#
এমএএইচ/এআর/৩